বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট ভাগাভাগি ৩০ নভেম্বরই হয়ে গেছে: মঈন খান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:৩০

‘অসহযোগ আন্দোলনে বিএনপি পাঁচ দফা বা ইস্যু দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রথম কথা হলো- এই নির্বাচন বর্জন করুন। আমি বলতে চাই, শুধু নির্বাচন নয়, এই সরকারকেও বর্জন করুন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ভাগাভাগি ৩০ নভেম্বরই হয়ে গেছে। কোন আসনে কোন প্রার্থী কত ভোট পাবে সেটাও সরকারের হেডকোয়ার্টারে নির্ধারণ হয়ে গেছে। ৭ তারিখে কেবল ফল ঘোষণা করা হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার আয়োজিত ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট আয়োজিত এই সভায় মঈন খান বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। এই নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভোট ভাগাভাগি এমন পর্যায়ে গেছে, তাদের লজ্জা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

‘সরকারের অপকর্মে বাধা দিতে হবে এবং সরকারকে অপসারণ করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্য একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে যে যেভাবে পারি এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।’

বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, জনগণ ধনসম্পদ চায় না। তারা পাঁচ বছর অন্তর একদিন কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো ভোটটা দিতে চায়। এটাই হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার যদি আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে না পারি, তাহলে আমরা যা কিছু বলছি, যা কিছু করছি সব অর্থহীন হয়ে যাবে।’

মইন খান বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট বাকশালী সরকারকে অপসারণ করে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন-সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে আমরা রাজপথে আছি। পাশাপাশি এ বিষয়ে আলোচনা, সেমিনার, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার কাজগুলো করতে হবে।

‘প্রতিটি আন্দোলনের যেসব পন্থা আছে, সেগুলা এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আরোপ করতে হবে। আমরা সেমিনার করবো, রাজপথে প্রতিবাদ করবো, সরকারের সমালোচনা করবো, প্রয়োজনে সরকারকে বিদায়ের রাস্তা দেখিয়ে দেবো। কোনো কাজেই আমরা পিছিয়ে থাকবো না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে মানুষের মাঝে। আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি বলে কেউ যে এর সমালোচনা করবে না সেটা চিন্তা করি না। কেউ সমালোচনা করলে জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো। শেষে যে মতটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে, সেটিই বিজয়ী হবে। এটাই গণতন্ত্রের ভাষা, পদ্ধতি।

‘অসহযোগ আন্দোলনে বিএনপি পাঁচ দফা বা ইস্যু দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রথম কথা হলো- এই নির্বাচন বর্জন করুন। আমি বলতে চাই, শুধু নির্বাচন নয়, এই সরকারকেও বর্জন করুন।’

ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল আজিজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর