পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রণালয় একতরফা নির্বাচনের পক্ষে ভূমিকা রাখছে। খবর ইউএনবির
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে যে, বিএনপি ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবরোধ কার্যকর করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা বিবৃতি সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশে একটি একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নব্য রাজাকারের ভূমিকা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এটি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী দাবি করেন, ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একতরফা সাজানো নির্বাচন বর্জন করেছে। তারাও (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার শুধু নির্বাচনের নামে খেলার জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্জন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণভবনে ইতোমধ্যে সাজানো নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা দেশপ্রেমিক জনগণকে এই ডামি নির্বাচন বর্জন করার এবং ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য এবং অন্যদেরও একই কাজ করতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি কাঁচাবাজারে আসন্ন নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণের প্রতি দলের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন রিজভীসহ বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী।
এর আগে বুধবার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ ঘোষণা করে এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায়। ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর ব্যাপক গণসংযোগ চালানোরও ঘোষণা দেয় দলটি।