বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা ‘এমপি বাহিনীর দ্বারা’ বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন: তৈমুর

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৩০

তৈমুল আলম বলেন, প্রার্থীরা এমপি বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, লাগানো পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে৷ চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয় নাই। রাতের আঁধারে পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন সম্ভবনা আমি দেখি না৷ পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

সারা দেশে তাদের প্রার্থীরা ‘এমপি বাহিনীর দ্বারা’ বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার।

শুক্রবার বিকেলে তার নির্বাচনি এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

তৈমুল আলম বলেন, ‘প্রার্থীরা এমপি বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, লাগানো পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে৷ চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয় নাই। রাতের আঁধারে পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন সম্ভবনা আমি দেখি না৷ পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

‘নির্বাচন কমিশন কি শুধু শোকজ করবে নাকি অ্যাকশনেও যাবে সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তারপর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা জাতির সামনে সব তুলে ধরবো।’

সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালীন সময়ে ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়ার দাবি জানান এই প্রার্থী।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কাঞ্চনে সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জের কাঞ্চনে বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে যেভাবে খুনোখুনি (সংঘর্ষ) হইছে, যেভাবে রাম দা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হইছে, এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি। জনমনে তো আতঙ্ক ঢুকে গেছে।’

তৈমুর আলম বলেন, ‘সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, অস্ত্র প্রদর্শন শুরু হয় আর প্রধানমন্ত্রী যদি ব্যবস্থা না নেন তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী রক্ষা করতে পারবেন না। আমাদের নিরাপত্তা তিনি দিতে পারবেন না। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন যে হবে না, বিরোধীদলের এই কথা প্রমাণিত হবে৷’

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে সাক্ষী-গোপাল করে রাখা যাবে না। যেখানে সন্ত্রাস সেখানে প্রতিরোধ করতে পারার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে হবে৷ ২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল কিন্তু তারা ছিলেন কেবল সাক্ষীগোপাল। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেবল ডাইনে-বাঁয়ে ঘুরছে, কারও কোনো অভিযোগ শোনেও নাই, ব্যবস্থাও নেয় নাই৷ কারণ তাদের সেই ক্ষমতা দেয়া হয় নাই।

তৈমুর বলেন, ‘আমাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হোক। যাতে কোন অপরাধ বা সন্ত্রাস সংঘটিত হলে, জোর করে সিল মারলে, ব্যালট ছিনতাই বা কোন কারচুপি হলে আইনগত ব্যবস্থা যাতে সেনাবাহিনী নিতে পারে৷ জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করে যে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য৷ সেনাবাহিনী যেন রাস্তাঘাটে না ঘুরে কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে। কারণ ভোট জালিয়াতি হয় কেন্দ্রে। নতুবা সেনাবাহিনী নিয়োগ করে কোনো লাভ হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর