মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার দুটি দল সদর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মৌলভীবাজার সদর থানাধীন কাজীরগাঁও এলাকার মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে ৩৫ বছর বয়সী রাজন মিয়া রাজু, বড়হাট এলাকার মৃত আরিছ মিয়ার ছেলে ৩৩ বছর বয়সী আলীম মিয়া এবং বড়কাপন এলাকার তাহের উল্লাহর ছেলে ২৮ বছর বয়সী সাহেল মিয়া।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আলীম ও রাজু পূর্বে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলতাফুর রহমানের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরির সময়ে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর রাতে আলীম মিয়া, সাহেল মিয়া এবং রাজন মিয়ারা প্রকাশ্যে জাতীয় পার্টির নির্বাচনি কার্যালয়ে প্রবেশ করলে আলীমের সঙ্গে বেলায়েত আলী জুয়েলের চেয়ারে বসা ও সিনিয়র-জুনিয়র, সম্মান দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ছুরির আঘাতে বেলায়েত আলী জুয়েলের পেট কেটে যায়; সেখানে ১০টি সেলাই লাগে। এ ছাড়া খালেদ চৌধুরী এবং আলতাফুর রহমানের ছেলে হানিফ ইবনে আলতাফ ওই ঘটনার সময় আহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তদন্তপূর্বক ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলতাফুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়। সদর থানার এসআই শিপু কুমার দাসকে মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান সদর মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল।