জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশ্যে নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতা কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়া সেই হাতেম আলীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
শুক্রবার নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও দায়রা জজ ফারজানা আহমেদ ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘হাতেম আলী মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশ্যে নৌকা প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতা কার্ড বাতিলের হুমকি দিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত করেছেন। এই হুমকির বিষয়টি বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবে না- এই মর্মে আগামী রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে হাতেম আলীকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হলো।’
হাতেম আলী লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত মঙ্গলবার রাতে বারুয়ামারী বাজারে বিজয় মিছিল শেষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থনে ভোট চাইতে গিয়ে সভাপতির বক্তব্যে ওই হুমকি দেন তিনি।
হাতেম আলীর দেয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে হাতেম আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করুন। কিন্তু শান্তি যদি নষ্ট করতে চান, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের মতো আপনাদের অবস্থান হবে। আর আমি বলতে চাই, এই ১৫ বছরে যে ভাইয়েরা, বিভিন্ন ভাতার অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে ভাতা ভোগ করছেন, তারা যদি সভায় উপস্থিত না হন ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের পরে সব ভাতা বন্ধ করে দেব।’
হাতেম আলী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করেন, আওয়ামী লীগেরটা খাবেন, নৌকা মার্কার সুবিধা ভোগ করবেন, অথচ অন্য পক্ষের হয়ে কাজ করবেন- না এটা হতে পারে না।’
ওই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতেম আলী বলেন, ‘আমি অনুসন্ধান কমিটির একটি চিঠি পেয়েছি, আগামী ২৪ ডিসেম্বর এর জবাব দেব।’