আবারও ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকারের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেয়ার যড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে ভোটারদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। যদি নির্বাচন চান, দলে দলে এসে সকাল-সন্ধ্যা ভোট দেবেন। আপনাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।’
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অসহযোগে বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে- খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না। তাদের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ তাদের এ আহ্বানে সাড়া দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি পল্টন থেকে দৌড়াতে, দৌড়াতে পালিয়ে গেছে। অবরোধে কাজ হয়নি, অবরোধ ভুয়া; অবরোধে রাস্তায় জ্যাম বেড়ে গেছে। বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে নেই বলে, এখানে তাদের খেলোয়াড়ও নেই। এবারের নির্বাচনে ১৮৯৬ জন খেলোয়াড় আছে। ফাইনাল খেলা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বঁচাতে হলে সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সকল প্রার্থীকে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারও জন্য তদবির করব না। নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।’
এ সময় তারেক জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘টেমস নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা। বিএনপিতে দণ্ড ছাড়া কি কোনো ভালো মানুষ নেই? খালেদা জিয়া দণ্ডিত, তার পরিবর্তে বিএনপির নেতা হওয়া তারেক রহমান দণ্ডিত। দণ্ডিত ব্যক্তি মানে দুর্নীতিগ্রস্ত। এ নেতার পেছনে কারা থাকবে?’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।