যারা নির্বাচনি দায়িত্ব যারা পালন করছেন, তারা কোনো দলের কর্মচারী নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। চাকরিতে থাকতে হলে সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো কর্মচারী যেকোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
‘আর সেই দায়িত্বে অবহেলা হলে তাকে সেই অপরাধে দায়ী করা হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বে আইন যেভাবে চলার সেভাবে চলবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘কোনো সিলেকশন হবে না, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট গ্রহণ হবে। ভোটারদের ভোট দিতে হবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে, তা ছাড়া কেউ ভোট দিলে সেই ভোট বাতিল।
‘এগুলো নির্বাচনি বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। তা ছাড়া সকলেই এখন নির্বাচন কমিশনের আওতায় কাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন সব কিছু নেয়া হয়েছে।’
আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনি আইনে আছে প্রতিটি পৌরসভার ওয়ার্ডে একটি ও ইউনিয়নে একটি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তার অপসারণ করতে হবে।
‘তা ছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এর পর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইক দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সে জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে যে সব বাইকের বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু বাইক নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না।’
আনিছুর রহমান বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি মাঠে মোতায়েন থাকবে। এদিন থেকে সমগ্র নির্বাচনি এলাকা সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ান আনসার কম্বাইন্ড টহল দেবে।’