বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ নাশকতা করে নাম দিচ্ছে বিএনপির: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৫

রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনি মাঠ একপাক্ষিক করার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর প্রথম পদক্ষেপ হলো- বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে ভয় দেখানো, সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়া এবং পূর্বপরিকল্পিত নাশকতা করে সেগুলোর মধ্যে নেতা-কর্মীদের নাম ঢুকানো। এরপরও যদি বিরোধীদলকে দমন না যায়, কারাগারে অসুস্থ নেতা-কর্মীদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে মেরে ফেলা।’

‘প্রতিদিনই পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করছে আওয়ামী লীগ, আর নাম দিচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। কিন্তু ১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো যেখানেই নাশকতা হয়েছে, সেখানে ধরা পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ’, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দিকে এভাবেই অভিযোগের তীর ছুড়েছেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় রিজভী বলেন, ‘২০১৫ সালে যখন নাশকতা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম দেয়া হয়েছিল, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন বলেছিল- ঘটনা ঘটাই আমরা, আর নাম হয় বিএনপির। এগুলোর তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ঢাকা অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির তিন দিনের প্রথম দিন ছিল আজ। প্রথম দিনে বিভিন্ন ঘটনা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জানান দিয়েছে- জনগণ ও জনশক্তি এই স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে নাই।

‘অবৈধ সরকার রাষ্ট্রকে হাতের কব্জায় নিয়েছে। আর এটা নিতে গিয়ে জনগণকে ত্যাজ্য করেছে। জনগণকে ত্যাজ্য করেই তারা গণতন্ত্রের শক্তির ওপর জুলুম-নির্যাতন হামলা-মামলা করে নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বিশেষ করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যেভাবে অত্যাচার জুলুম চালাচ্ছে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের আত্মীয়-স্বজন দেখা করে এসে নির্মম নির্যাতনের যে বর্ণনা দিচ্ছে, তাতে মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিচ্ছে। তারা এই ধরনের কার্যক্রম করে বাংলাদেশ থেকে বিরোধী দলের শক্তি ধ্বংস করার সকল পরিকল্পনা আয়োজন করেছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা দুঃশাসনের মাফিয়া চাকরের মতো আস্ফালন দেখাচ্ছে। তারা নির্বাচনি মাঠ একপাক্ষিক করার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হলো- বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে ভয় দেখানো, সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়া এবং পূর্বপরিকল্পিত নাশকতা করে সেগুলোর মধ্যে নেতা-কর্মীদের নাম ঢুকানো। এরপরও যদি বিরোধীদলকে দমন না যায়, কারাগারে অসুস্থ নেতা-কর্মীদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে মেরে ফেলা।

‘মিছিলের মধ্যে গুন্ডা আওয়ামী লীগের ক্যাডার লেলিয়ে দিয়ে একভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে। পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। জেল কাস্টডিতে প্রতিদিনই মৃত্যুর হার বাড়ছে। আমরা এগুলো প্রতিদিনই বলছি, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে; এগুলো কোনো সাজানো গল্প নয়।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ এবং তাদের নেতাদের যে বক্তব্য এবং আচরণ, তা একেবারে আদিম সমাজের মানুষের মতো। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সর্বশেষ আশা-ভরসার আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। সেই আদালত এখন আওয়ামী পাড়ায় পরিণত হয়েছে, আওয়ামী খেলাঘরে পরিণত হয়েছে। এটা এই জাতির জন্য, এদেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’

নাশকতার বিষয়ে রিজভী আরও বলেন, ‘এই যে আওয়ামী নেতারা মাইক্রোবাসে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের কাছে ধরা পড়েছে। প্রথমে কিন্তু র‍্যাব এটা বুঝতে পারেনি, পরে তারা বুঝতে পেরেছে। এর উত্তর কী দেবেন হাছান মাহমুদ সাহেবরা? এগুলোর উত্তর নাই বলেই এখন ব্যক্তিগত আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন। নিজেদের শিক্ষা রুচি জলাঞ্জলি দিয়ে আপনারা ওই পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।’

‘বিএনপির কর্মসূচি মধ্যে আক্রমণ করার জন্য আওয়ামী লীগ অস্ত্র সংগ্রহ করছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষা কত নির্মম নির্দয় হতে পারে তা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। তারা আওয়ামী লীগের স্টাফ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কাছ থেকে দর্শন নিয়ে তারা নিজের দেশে বিরোধীদলের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর