নির্বাচনি প্রচার সঙ্গীত ‘ভোট দিব সবাই’-এর আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে গানটির পোস্টার। গানটি প্রযোজনা করেছে ’৭১-এর চেতনায় লিভার বিশেষজ্ঞ ক’জনা।
প্রচার সঙ্গীত সম্প্রচার শুরু উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, মিউজিক ভিডিওটির নির্মাতা সাইফ আহম্মেদ এবং গীতিকার বিএসএমএমইউ-এর লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ নূর-ই-আলম ডিউ।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লিভার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোকসানা বেগম এবং বিএসএমএমইউ’র লিভার বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে ‘ভোট দিব সবাই’ গানটির আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু হয়। গানটির পোস্টারও উন্মোচন করা হয়।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ডা. ডিউ বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসী ও মানুষের ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চক্রান্তে লিপ্তদের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ এই গান। এর মাধ্যমে আমি আগামী নির্বাচনে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোটদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।’
মিউজিক ভিডিওটির নির্মাতা সাইফ আহম্মেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে এত বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যে এর সব সাড়ে চার মিনিটের এই মিউজিক ভিডিওর স্বল্প পরিসরে তুলে ধরতে পারিনি।’
ঝুনা চৌধুরী বলেন, ‘লিভার বিশেষজ্ঞদের এই গান শুনে আমার কলিজা জুড়িয়ে গেছে।’
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ অন্য সব ক্ষেত্রের মতো এদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিএসএমএমইউ’র নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রাপ্ত উন্নত চিকিৎসা সুবিধাগুলোর কথা তুলে ধরে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে এদেশ থেকে আর কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না।
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছিলাম এবং তারপর আবারও বঙ্গবন্ধু-কন্যার নেতৃত্বে পাকিস্তানি দোসরদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে দ্বিতীয়বারের মতো মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম। তেমনি আগামী নির্বাচনে তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনি জনসভাগুলোর শুরুতে উদ্দীপনামূলক সঙ্গীত পরিবেশনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনি সঙ্গীতটি আগামী নির্বাচনে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করবে।’
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গানটির কথা, সুর ও গায়কির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে একে হারানো দিনের আধুনিক বাংলা গানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি গানটির ব্যাপক প্রচারের ওপর জোর দেন, যাতে মানুষ আরও ভোটদানে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. স্বপ্লীল জানান, বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি এদেশের লিভার বিশেষজ্ঞদের কৃতজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তারা গানটি প্রযোজনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি এবং গীতিকার ডা. ডিউসহ গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেক লিভার বিশেষজ্ঞ জোট সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গানটি প্রযোজনায় সম্পৃক্ত হওয়ার পেছনে ছাত্রলীগের প্রতি দায়বদ্ধতাও একটি কারণ।
কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
ইউটিউবে https://youtu.be/xg1TNmxVp70?si=lrhvEAQX3Wd8YZnK লিংকে গানটি পাওয়া যাবে।