ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহর চাচাতো ভাই সাকলাইন কাজী শেখ পরিবার, শেখ সেলিম, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল ও শেখ তন্ময়কে নিয়ে গালিগালাজ করেছেন। কাজী সাকলাইনকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সূর্য্যনগর বাজার এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে কাজী সাকলাইনের বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কাজী সাকলাইনের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ মামলা দিয়েছে। সে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এবং শেখ পরিবারকে নিয়ে যে বিশ্রী ভাষায় মন্তব্য করেছে তার জন্য সাকলাইনের বিচার করতে হবে। ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসনের জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এর উচিত বিচার করে দেবে।’
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়াউল মাদবরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াশ পাশা, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহির চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
গত ৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘাড়য়া গ্রামে এক উঠান বৈঠকে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন কাজী তার বক্তব্যে শেখ পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর ও নির্বাচন আচরণ বিধিবহির্ভূত কথা বলেন।
তার এ বক্তব্যটি ‘ফরিদপুর.২৪ আপডেট নিউজ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
শিবচর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন পাশা সোমবার রাতে বাদী হয়ে সাকলাইনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেন।