বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া। পশ্চিমারা কী করছে বা কী করতে পারে মস্কো কেবল তা-ই তুলে ধরছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রুশ দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তারপরও আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই- বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে তারা কী করেছে আর কী করতে পারে সেটা আমরা তুলে ধরেছি।’
ঢাকা-মস্কো সম্পর্কের বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে অচল সমুদ্রবন্দর চালু করার জন্য জাতিসংঘে সহায়তার আবেদন করে বাংলাদেশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বন্দর চালু করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেটি তখন জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্চ মাসে মস্কোকে অনুরোধ করেন। মস্কো দ্রুততার সঙ্গে রাজি হয় এবং ওই মাসেই এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়।’
‘সম্পূর্ণ মানবিক কারণে সোভিয়েত নেভি ওই কাজ করে দিয়েছে। যদিও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওই কাজের জন্য এক কোটি ডলার চেয়েছিল।’