বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ আরসার ৪ সদস্য আটক

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:৩৬

র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সদস্যরা র‌্যাবের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে র‌্যাবের সঙ্গে আরসার গুলি বিনিময় হয়।’

উখিয়ার জামতলী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চারজনকে আটক করেছে র‍্যাব। ওই সময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক।

জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের একটি ঘরে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন আরসার সদস্যরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫-এর একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সদস্যরা র‌্যাবের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে।

‘পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে র‌্যাবের সঙ্গে আরসার গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে আরসার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. ইউনুস প্রকাশ ওরফে মাস্টার ইউনুসকে আটক করা হয়।’

তিনি জানান, একই সময় ক্যাম্প-৪-এর মফিজুর রহমান প্রকাশ মুজিয়া, ক্যাম্প-১-এর এনায়েত উল্লাহ ও ক্যাম্প-৪-এর জাবের প্রকাশ আমানুল্লাহকে আটক করতে সক্ষম হয় র‍্যাব, তবে পালিয়ে যান তাদের সঙ্গে থাকা আরও চারজন আরসা সদস্য।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল, পিস্তলের কাতুর্জ, ককটেল, স্মার্টফোনস নোটবুক ও হিসাবের খাতা।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাস্টার ইউনুস ২০১৭ সালে পরিবারসহ মিয়ানমারের মংডু থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং ক্যাম্প-১০-এ সপরিবারে বসবাস শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে আসার পর তার বাসার পাশে থাকা মারকাসের অফিসের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে করতে একপর্যায়ে বন্ধু মৌলভী সৈয়দ আলমের মাধ্যমে আরসায় যোগদান করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে আরসার আধিপত্য বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধির জন্য গত সোমবার রাতে তারা বড় ধরণের একটি নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছিলেন।

র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অপরাধ দমনে সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ র‌্যাব-১৫ শুরু থেকে আরসার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আসছে। এই বছর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরসার ইন্টেলিজেন্স সেলের কমান্ডারসহ সর্বমোট ৭৬ জন আরসার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর