পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়ে অবরুদ্ধ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দুই ঘণ্টা পর সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাঁথিয়া বাজারের বোয়ালমারী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে নৌকার মিছিল যাচ্ছিল। মিছিলকারীরা অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে দেখে তাকে ঘিরে ধরে। তাদের মাঝে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও বেড়া ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অধ্যাপক আবু সাইয়িকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকে।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ একপাশে একটু সরে গিয়ে বসে অবস্থান নেন। এ সময় আবু সাইয়িদকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ডিম ছুড়ে মারে নৌকার সমর্থকরা। সেগুলো তার মাথায় আঘাত লাগে।
পরিস্থিতি ক্রমশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রায় দুই ঘণ্টা পর সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন উভয় পক্ষকে সরে যেতে বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা আজ দেখলেন কিভাবে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটাকে কি নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ বা নিরপেক্ষ পরিবেশ বলে?’
সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আজকে নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করতেই অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এই এলাকায় এসেছিলেন। তারাই আমাদের মিছিলের সামনে গাড়ি রেখে বাধা তৈরি করেছিল।’
এ বিষয়ে ইউএনও আলপনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে নির্বাচনি পরিবেশ নিরপেক্ষ ও স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কথা বলতে রাজি হননি সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেনও।