নাটোরের লালপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা খায়রুল বাশার হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ১৩ নেতা-কর্মীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৫৪ জন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের আবদুল করিম, মতি সরদার, কদিম চিলান গ্রামের আবুল কালাম আজাদ প্রিন্স, পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের মকলেছ সরদার ও মহসিন সরদার, খলিল, রানা, আনিসুর, রাজ্জাক, জার্জিস, কদিম চিলান গ্রামের কালাম, মিজানুর রহমান, পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের সানা প্রাং।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তারা সবাই জামায়াত-শিবির কর্মী এবং পলাতক।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বলেন, ‘২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর নাটোরের যুবলীগ নেতা খায়রুলকে হত্যা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। মামলার মোট আসামি ছিলেন ৬৭ জন। এর মধ্যে তিনজন মারা যাওয়ায় তারা এমনিতেই খালাস। বাকি ৬৪ জনের মধ্য ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাই খালাসের মোট সংখ্যা ৫৪ জন।’
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর স্থানীয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা নাটোরের লালপুর উপজেলার কদমচিলান ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রাণ হারানো খাইরুলের ভাই শাহীনুর রহমান তখন লালপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ২০১৪ সালে পুলিশ তদন্ত করে ৬৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।