ঢাকা-১৯ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের হুমকিসহ মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
ঢাকার সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরে ঈগল প্রতীকের ও নামাগেন্ডা এলাকায় ট্রাক মার্কার প্রার্থীর অফিসে সোমবার রাতে এ হামলা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের কর্মী ও পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি আব্দুল হালিম জানান, তিনি পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্রের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সোমবার রাত ৩টার দিকে পৌরসভার কাতলাপুর এলাকার ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাবেক যুবদল নেতা বাবু ও পলাশ। মাজহারুল ইসলাম রুবেল সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল আলম রাজীবের শ্যালক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থক।
আব্দুল হালিম বলেন, ‘অফিস ভাঙচুর ছাড়াও আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন তারা। আমরা থানা ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব।’
এ বিষয়ে জানতে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলের মোবাইল ফোনে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ট্রাক প্রতীক) নির্বাচনি অফিস স্থাপনে বাধা ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ এনে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর নামাগেন্ডা এলাকায় আমার নির্বাচনি অফিস স্থাপনে বাধা ও কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।’
সাভার মডেল থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, ‘কাতলাপুর এলাকার ঘটনাটি আমি জানি না। তবে নামাগেন্ডার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মূলত এখন তো অভিযোগ আসতেই থাকবে। আমরা যথাযথ তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’