প্রার্থিতা বাতিলের পরদিন তা আবার ফেরত পেলেন ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শামীম হক।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এর ফলে শামীমের ভোটে লড়ার পথ আবার খুলে গেল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুতে প্রার্থিতা নির্বাচন কমিশনের বাতিল হওয়ার পর তা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন শামীম হক। বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তার রিটটি খারিজ করে দেয়।
পরে এ নিয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন শামীম। ওই আবেদনের শুনানিতে ফল এলো তার পক্ষে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদ।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন এ কে আজাদ। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করে গত ১৫ ডিসেম্বর। পরে হাইকোর্টে আসেন শামীম। সেখানে ব্যর্থ হয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি।
দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। আর শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব (যুক্তরাষ্ট্র) সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ তুলে এ কে আজাদের প্রার্থিতাও বাতিল চাওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানিতে আজাদের প্রার্থিতা টিকে যায়।