উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ নিয়ে টানা চার দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে।
গত কয়েক দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে হিমেল বাতাস যাওয়ার কারণে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। গত এক সপ্তাহ থেকে এ জেলায় তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রির ঘরে উঠানামা করছে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস পঞ্চগড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের। শীতের কারণে কাজে যেতে পারেন না অনেকেই। কারণ এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেশিরভাগই পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর।
জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না শীতের কারণে।’
একই কথা বলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। আমাদের কেউ খোঁজখবরও নেয় না তাই এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগিতা করলে আমরা উপকৃত হতাম।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে৷ এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত তাদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতি বছর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা আরও হ্রাস পাবে এবং শীতের প্রকোপও বৃদ্ধি পাবে। টানা ৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে।’
এর আগে, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।