ফেনীর দাগনভূঞায় চুরি করতে গিয়ে খুন করা হয় ৫০ বছর বয়সী গৃহবধূ পারুল আক্তারকে।
রোববার রাতে সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ি থেকে মোবারক হোসেন নামের এক যুবককে এ ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে ওই যুবক ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করে।
পরে তিনি আদালতে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত জানান এবং সম্পৃক্ত আরও ২ জনের নাম প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন- ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা আফজল মিস্ত্রি বাড়ির ইহাব হোসেন শুভ ও ঘটনাস্থল সংলগ্ন উত্তর বারাহীগুনী এলাকার আব্দুল আউয়াল প্রকাশ সাদ্দাম ।
মোবারক হোসেন জানায়, ওই রাতে তারা ৩ জন উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগুনীতে পারুলের ঘরে চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পারুল তার মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে মোবারকসহ তার সঙ্গীরা ওই নারীর হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিতে জোরজবরদস্তি শুরু করেন। মোবাইলটি নিতে না পেরে ওই নারীর মাথায় আঘাত করে চোরের দল। এতে ওই নারীর মৃত্যু হলে তারা পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনী সামছুল হক ভূঞা বাড়িতে নিজ ঘর থেকে পারুল আক্তার নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার কোনো কারণ অথবা ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকে অভিযুক্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা।
দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, ‘জায়লস্কর ইউনিয়নের আলোচিত গৃহবধু পারুল হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন আটক মোবারক আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। স্বীকারোক্তিতে উঠে আসা ঘটনায় সম্পৃক্ত শুভ ও সাদ্দাম নামের আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’