বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এর ফলে আইনি লড়াইয়ে হেরে ভোটের মাঠ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীকে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিলের যে আদেশ দিয়েছিল আগের দিন সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ তা বহাল রাখে। হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশ নিয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ-সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
নির্বাচন কমিশন আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মীর মানোনয়ন বাতিল করে দেয় ইসি। আর ইসি একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রাখে।
পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। যেটি সোমবার খারিজ হয়ে যায়। এরপর আবার আপিল বেঞ্চে আবেদন করেন শাম্মী। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের আদেশ বহাল রইল এবং শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই রইল। তার আসনটিতে স্বতন্ত্র হয়ে লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ।