বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাবনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:৫৪

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

পাবনার সাঁথিয়ায় সাবেক ও বর্তমান দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের পূর্ব বিরোধের জেরে সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে রোববার সকাল ৭টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং সংঘর্ষের পর সাঁথিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিফাতুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নাগডেমড়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ‘খ’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের মধ্যে আগে থেকে হামলা, মামলাসহ নানা কারণে বিরোধ চলে আসছিল।

বর্তমান চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও হাফিজুর রহমান ও তার সমর্থকরা সাবেক চেয়ারম্যানের প্রভাবে দীর্ঘদিন গ্রাম ছাড়া ছিল। রোববার সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি আসে।

এ খবর জানার পর উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।

এ সময় শাহ আলম, রতন, সাইদ, বিল্লাল, আবুল ফকির, মজিবর ফকির, ফখরুল, নজরুল, রহম, জিহাদ, আলম, সাইফুল, পলাশ সরকারবের বাড়িসহ উভয় পক্ষের আরও অন্তত ১০ থেকে ১২টি বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে হাবিল, মতিন, হাসান, মিজানুর, শিহাব, সুমন আহমেদ টুকু, রাকিব, বুলবুল, আবু দায়েন, আব্দুস সামাদ, ফজর আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

হামলার বিষয়ে নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রশিদের অত্যাচারে আমি ও আমার সমর্থকরা দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলাম। রোববার আমি ও আমার সমর্থকরা গ্রামে আসলে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও তার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট এবং মরধর করে। আমি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

অন্যদিকে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ দাবি করেন, ‘হাফিজ চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের সঙ্গে করে নিয়ে রোববার গ্রামে আসে এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং মারধর করে।’

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর