ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বিএনপির অঙ্গসংগঠন কিনা- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যকে বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে বলেছে, এমন বক্তব্য সমালোচক মাত্রই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ- এমন মানসিকতার প্রতিফলন।
রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়।
সম্প্রতি টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মন্তব্য করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ড. ইফতেখারের ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা টিআইবিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বোঝানো হয়। ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে আছে। এখন বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এর অর্থটা কী। টিআইবি কি বিএনপির শাখা সংগঠন? একই সুরে কথা বলছে!’
ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা বিনষ্ট হওয়ার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করায় বিএনপির সঙ্গে টিআইবিকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দেয়া ওই বক্তব্য অনভিপ্রেত। টিআইবি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করে না। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তির এমন বক্তব্য পুরোপুরি অমূলক ও হতাশাজনক।
বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবি এতে মোটেই অবাক বা বিচলিত নয়। দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার উপযুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণে কর্মরত টিআইবির ওপর এ ধরনের অপবাদ দেয়ার চর্চা নতুন নয়। কোনো গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন বা পরামর্শ অপছন্দ হলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান দুই রাজনৈতিক দল টিআইবির প্রতি বিষোদ্গারে লিপ্ত হয়।