বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুন নিয়ে খেলা ভালো না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪৯

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে মানুষ হত্যা শুরু করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন খালেদা জিয়াও। আর এখন তাদের ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে হুকুম দেয়, আর এখানে আগুন লাগানো হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণের কথা ভাবে না বলে আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়। রেলের স্লিপার ও ফিসপ্লেট খুলে মানুষ হত্যার ফাঁদ তৈরি করে। আগুন নিয়ে খেলা ভালো না। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনও মেনে নেবে না।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে মানুষ হত্যা শুরু করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন খালেদা জিয়াও। আর এখন তাদের ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে হুকুম দেয়, আর এখানে আগুন লাগানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা মানে কত মানুষের মৃত্যু, যা সম্প্রতি গাজীপুরে রেললাইনে বিএনপির নাশকতার কারণে ঘটেছে।

‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়ায় বোমা পেতে রাখা- এমন বহু ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাবো- যারা অগ্নি-সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ওরা হরতাল দিয়ে লুকিয়ে থাকে। ঘরে বসে থাকে। আর ভাড়াটে লোক দিয়ে আগুন দেয়।

‘বাংলাদেশের মানুষকে আমি এটাই আহ্বান করবো- এই দুর্বৃত্ত, অগ্নি-সন্ত্রাসী, খুনি- যারা মানুষ খুন করার জন্য রেললাইনের পাত ফেলে দেয়। রেললাইন কেটে রাখে। আর আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়। এদের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশের মানুষকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

‘রেললাইন থেকে শুরু করে সব পাহারা দিতে হবে। যারা রেললাইন কাটতে যাবে, আগুন লাগাতে যাবে তাদের ধরিয়ে দিন, উপযুক্ত শিক্ষা দিন। এদের ধ্বংসাত্মক কাজ এদেশে চলতে পারে না।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘এরা মানুষের কল্যাণ চায় না, লুটপাটের রাজত্ব চায়। এরা ভোটে যেতে সাহস পায় না। কারণ জানে ওই অগ্নি-সন্ত্রাসী, খুনিদের বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেবে না। সেজন্য তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। সরকার উৎখাত করতে চায়।

‘বাংলাদেশের মানুষ জানে তাদের কিসে ভালো কিসে মন্দ। আর কোন দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের কল্যাণ হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই- আওয়ামী লীগ কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে উঠে আসেনি। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি-মানুষের সংগঠন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। কাজেই এই সংগঠনের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। আওয়ামী লীগকে এভাবে তারা কোনোদিনই উৎখাত করতে পারবে না, দাবাতেও পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। নির্বাচনী সংস্কার আমরা করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা নির্বাচিত করবে। কে সরকারে আসবে। অগ্নি-সন্ত্রাস আর খুন করে জনগণের হৃদয় জয় করা যায় না। এটা তাদের জানা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে যখন আমরা কেবল উঠে আসছি তখন এলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন। সেটাকেও মোকাবেলা করে আমরা যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি, এই সময়ে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস, হরতাল-অবরোধ করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা সরকার পাকিস্তানকে সহযোগিতা করলেও সে দেশের মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের পাশে ছিল। সোভিয়েত রাশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় অন্যান্য দেশও আমাদের সমর্থন করে। সবার সমর্থন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাই।

‘আমাদের পাশে ছিল মিত্রবাহিনী, মিত্রবাহিনীর শক্তি ভারত। ভারতের জনগণ, ভারতের তৎকালীন সরকার, বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়।

‘ভারতের এমন কোনো দল ছিল না যে আমাদের সমর্থন দেয়নি। এই মিত্রশক্তির পাশাপাশি আমরা অন্যান্য দেশেরও সমর্থন পাই।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুদের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর