নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের খিল মার্কেট এলাকায় একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন ৬২ বছর বয়সী সুলতান মিয়া, তার স্ত্রী ৪৫ বছর বয়সী সাহিদা আক্তার, ছেলে ২৭ বছর বয়সী নবী হোসেন এবং ২৩ বছর বয়সী আলী মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাট বাসায় বসবাস করা পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়িতে যান। শনিবার রাতে গ্রাম থেকে ফিরে আসেন। এরপর রাতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এসে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘরে থাকা নারীসহ চারজন দগ্ধ হন। ওই সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ছুটে যান।
বিস্ফোরিত ভবনের নিচ তলার বাসিন্দা হারু মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করেই বিকট শব্দ শুনে বেড়িয়ে দেখি তিন তলার জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। আর ভেতরে আগুন। ওই সময় আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। পরে গিয়ে সবাই আগুন নিভিয়ে দগ্ধ চারজনকে কক্ষ থেকে বের করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসেন।’
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, রুমে রান্নাঘরের গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমাট বেঁধে ছিল। সেখানে আগুনের স্পর্শ পেয়ে তা বিস্ফোরণ ঘটে বলে আমরা ধারণা করছি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আর আহত চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম বলেন, ‘দগ্ধদের একজনকে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় প্লাস্টিক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অন্যদের এখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রুমের সার্বিক দিক দেখেছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, পুরাতন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শাহিদা খাতুনের শরীরের ৫৩ শতাংশ, নবীর ২২ ও আলীর ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের তিনজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আর সুলতান মিয়ার শুধু মুখমণ্ডলের সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তাকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।