গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ ও তার পরিবার।
উপজেলার তারাশী গ্রামের নিজ বাড়িতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকাল ১১টায় তারাশী পবনারপাড় মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তারাশী সর্বজনীন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পরিবার জানায়, এক কন্যা সন্তানের জনক ৪০ বছরের কামরুল ইসলামের বেকারত্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যার কারণে সে মানসিকভাবে হতাশ ছিল। হতাশা থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা তাদের।
কামরুল ইসলামের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মান্নান শেখও আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তার ধারণাও পরিবারের ধারণার সঙ্গে এক বলে জানিয়েছেন।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘কামরুল ইসলামের মরদেহ দেখে আমাদের আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’