বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, সভাপতি আহত

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:২৯

পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনি কমিটি গঠন করা নিয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় বর্ধিত সভার চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বরাতে পুলিশ জানায়, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়স্থ পাবনা জেলা ছাত্রলীগের অফিসে সংগঠনের বর্ধিত সভা চলছিল। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনি কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন করেন। এতে ছাত্রলীগের সভায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু গ্রুপ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব বলেন, ‘দুই বছর ধরে ছাত্রলীগের কোনো পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কমিটি চলছে। এতে অনেক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদর থানা ও এডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক জায়গায় বছরের পর বছর ধরে কমিটি নেই।

‘সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি কমিটি গঠন করেছে। ১৩২ জনের কমিটিতে ৩০ জনও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নাই। এ কমিটি কার সঙ্গে সমন্বয় করে গঠন করলো? কেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের রাখা হয়নি- এসব নিয়ে বর্ধিত সভায় প্রশ্ন করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার ওপর চড়াও হয়। আমি আত্মরক্ষা করে চলে আসার সময় একটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়।’

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘আমরা বর্ধিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করছিলাম। এ সময় পেছন থেকে তারা হৈ হৈ করে হামলা চালিয়েছে।

‘আমরা এ হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। সন্ত্রাসীদের কোনো অবস্থান ছাত্রলীগে নেই, থাকতেও পারবে না।’

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর