বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, তাদের এ দেশে রাজনীতির অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪০

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। শান্তিতে বাস করবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে, তারা পরাজিত শক্তির দালাল এবং দোসর। এ দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। এদের ‘না’ বলুন।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। শান্তিতে বাস করবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে দুই বার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি বলেছিলাম গ্যাস পাবে না। আল্লাহ-তায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই। খালেদা জিয়া ৯৬ সালে এক ভোটারবিহীন নির্বাচন করে, কর্নেল রশিদ ও হুদাকে ভোট চুরি করে ক্ষমতা বসালো। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতার আসন দিল। ফারুককেও চেষ্টা করেছিল নওগাঁ থেকে জিতিয়ে আনতে, সেটা পারে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা) ঘোষণা দিলেন যে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বেশি দিন বসতে পারেনি, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, ৩০ মার্চ জনগণের রুদ্ররসে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার দল বিএনপি এখন আন্দোলনের নামে রেললাইন তুলে ফেলছে অগ্নি সংযোগ করছে পুলিশ হত্যা করছে বাসে আগুন দিচ্ছে। যারা মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে, তারা কোন গণতন্ত্র দেবে? এটা মানুষ বোঝে বলেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয় না।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে আহ্বান যেখানে বাস আছে, রেললাইন আছে, যেখানে এরকম (রেলপথ তুলে ফেলা) ঘটনা ঘটবে, সাথে সাথে যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। এরা ধ্বংস করতে পারে, এরা মানুষের জন্য সৃষ্টি করতে পারে না। এরা মানুষকে খুন করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনের শান্তি নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষের জীবনটা উন্নত করতে পারে না। কাজে তাদের কাছ থেকে সাবধান। আর কোথাও যদি এই ধরনের রেলের স্লিপ তুলে ফেলে, আগুন দেয়, যখনই করতে যাবে সরাসরি তাদের ধরতে হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, রেল লাইন থেকে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করবে, এরা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? হত্যাকারীরা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাস সময় পান। এর মধ্যেই দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি। যারা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে, এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে, তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি। একটা দেশ এত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, আজকে মানুষ বিদেশে গেলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পায়। আর এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদা বাহিনীর দোসর যারা ছিল, এরাই তাদের প্রেতাত্মা হয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হত্যা করে যাচ্ছে। হত্যার পরিকল্পনা করছে।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর