ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীতে আড়াআড়ি দেয়া মাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সীমানা জরিপ করে দখলকারীদের তালিকা দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে আনা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। খবর বাসসের
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীর আড়াই কিলোমিটারে সাত জায়গায় আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর ওই অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে চাঁদপুর বাঁওড় নামকরণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। নবগঙ্গা নদীটি জেলার হরিণাকুর, হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর ও সদর উপজেলার জাড়গ্রাম অংশে ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতি ধারণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ইউ আকৃতির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। এর মাঝ বরাবর পড়েছে জাড়গ্রাম। জাড়গ্রামের তিন পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছিল নদীটি। এখানে নদীর সাত জায়গায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জানান, সব বাঁধ অপসারণ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, ভবিষ্যতে যাতে দখল করতে না পারে এবং সিএস/আরএস অনুসারে নদীর হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর, জাড়গ্রাম অংশে জরিপ কর ও দখলকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।