বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনাজপুরে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে পিঠার দোকানে ভিড়

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৩

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া কমছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এসময় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমছে। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে মৌসুমি পিঠার দোকান। আর দোকানগুলোতে পিঠা ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।

দিনাজপুর জেলা সদরের নিমতলা, কালিতলা, মর্ডান মোড়, সুইহারী, ছয়রাস্তার মোড়, চাউলিয়াপট্টি মোড়, হাসপাতাল মোড়, কাচারী মোড়, ষষ্ঠিতলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসেছে মৌসুমি পিঠার দোকান। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। পিঠাপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এসব দোকান।

শীতের এ মৌসুমে পিঠার দোকানে ভিড় করছে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। তারা পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে ওঠেন। নারিকেল ও খেজুর গুড়ের তৈরি ভাপা, চিতই, ডিম রুটি, নানা রকম মসলার তৈরি ধনিয়া পাতার চাটনিসহ বাহারি সব পিঠা পাওয়া যায় এসব দোকানে।

এখন শুধু বাড়িতে নয়, শীত এলে বিভিন্ন পাড়া বা মহল্লার অলিগলিতে দেখা যায় হরেক রকমের পিঠার দোকান। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে চিতই পিঠার দোকান। মূলত কাঠ বা টিন দিয়ে এসব দোকান তৈরি করে থাকেন পিঠা বিক্রেতারা। আর সেই পিঠার স্বাদ নিতে দোকানে ভিড় জমান সব শ্রেণির পিঠাপ্রেমীরা। কারও পছন্দ তুলতুলে নরম চিতই পিঠা, আবার কারও পছন্দ কড়া ভাজা পিঠা। এর মধ্যে ডিম-চিতই ও দুধ-চিতই পিঠাও রয়েছে পছন্দের তালিকায়।

পিঠা ক্রেতা মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রায়ই নিমতলায় পিঠা খাই। চাল ভেঙে আটা করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই। তাই এসব পিঠাই আমাদের ভরসা। শীতের সময় পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে।’

আরেক পিঠা ক্রেতা আকাশ আলী বলেন, ‘ছোট থেকেই আমার পিঠা খুব পছন্দ। শীতের সময় আমি বাসায় বায়না ধরতাম পিঠা খাওয়ার জন্য। এখন বড় হয়ে গেছি ব্যবসা নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকি, তাই পিঠা খাওয়া নিয়ে আগের মতো আর বায়না ধরতে পারি না। ডিম-চিতই পিঠা আমার খুব পছন্দ। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে আমি দোকানে ছুটে যাই একটু পিঠার স্বাদ নিতে।’

নিমতলার মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা আশরাফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন আমি এখানে পিঠার দোকান দিই। সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানও সঙ্গ দেয়। বেশি শীত পড়লে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদ দিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা লাভ থাকে।’

কালিতলার পিঠা বিক্রেতা রমেজা বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এখানে কাস্টমারের (ক্রেতার) সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে কাস্টমারের সংখ্যা বাড়ছে। এখন অনেক বিক্রি হচ্ছে। কাস্টমার বেশি আসলে বেশি বিক্রি হয়, কম আসলে কম বিক্রি হয়।’

পিঠা বিক্রেতা পাটুয়াপাড়া এলাকার সাবিনা বেগম জানান, শীত এলেই তিনি চিতই পিঠা বিক্রয় করেন। সাংসারিক বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি পরিবারের একটু বাড়তি আয়ের জোগান দিতে তিনি এ পেশা ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন। অল্প খরচে ভালো লাভের আশায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিনি এ ব্যবসা করছেন। এতে তার বেশ ভালো আয় হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া কমছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এসময় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে।

এ বিভাগের আরো খবর