বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পচে যাওয়া ১৯০ টন গম ধ্বংস

  • প্রতিনিধি, পঞ্চগড়   
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:০৩

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ ছাড়া প্রায় ৬ বছর যাবত পড়ে থেকে দুটি ওয়্যারহাউজের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রাখায় একদিকে চলমান পণ্যের জন্য স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। অপরদিকে বন্দর তথা সরকার নিয়মিত বন্দর মাশুল ও ভ্যাট হতে বঞ্চিত হওয়ায় বন্দর কমিটির নির্দেশে আজ গমগুলো ধ্বংস করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজ খালি হলো। এখন এখানে অন্য আমদানি পণ্য রাখা যাবে।’

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ছয় বছর আটকে থাকায় পচে যাওয়া ১৯০ টন গম ও ও পাঁচ টন ডলোমাইট পাউডার ধ্বংস করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ, জেলার এডিশনাল এসপি মো. আমিরুল্লা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি পরিচালক মো. ইউসুফ আলী ও ১৮ বিজিবির সহকারি পরিচালক মো. জামাল হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ভারত থেকে ১৯০ টন গম আমদানি করেন মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত থেকে গম আমদানির এ চালান বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আনা হলে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র স্থলবন্দর হতে ছাড়পত্র না দেয়ায় ও ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ডলোমাইট পাউডার মিস ডিক্লারেশন হওয়ায় গমগুলো প্রায় ৬ বছরের মাথায় ধ্বংস করা হলো।

ছাড়পত্র না দেয়ার কারণ হিসেবে স্থলবন্দর সূত্র জানায়, গম আমদানির পর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবানু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। পরে সে গমের সেম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকার খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়।

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং গমগুলোকে পচা এবং ৫টি ক্ষতিকারক জীবাণু আক্রান্ত বলে জানানোর পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র গমগুলো ফেরত দেয়ার জন্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দেয়। এরপর কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ গমগুলোকে আটক করে।স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত ২০১৮ সালে ১৪ জানুয়ারী ভারত থেকে মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০.১০ টন (অবীজ) আমদানি করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজে আনলোড করে রাখেন। পন্যটি প্রায় ৬ বছর যাবৎ ওয়্যারহাউজে পড়ে থাকায় পোকার আক্রমণে গমগুলি নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তাদেরকে বারবার চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি।

‘এ গমের স্তূপকেন্দ্রিক পোকা-মাকড়, ইঁদুর ও বিষধর সাপের উৎপাত অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। নষ্ট গমের দুর্গন্ধে ওয়্যারহাউজের কর্ম পরিবেশ দূষিত হয়ে বন্দরে, কর্মী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দেয়।’তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া প্রায় ৬ বছর যাবত পড়ে থেকে দুটি ওয়্যারহাউজের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রাখায় একদিকে চলমান পণ্যের জন্য স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। অপরদিকে বন্দর তথা সরকার নিয়মিত বন্দর মাশুল ও ভ্যাট হতে বঞ্চিত হওয়ায় বন্দর কমিটির নির্দেশে আজ গমগুলো ধ্বংস করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজ খালি হলো। এখন এখানে অন্য আমদানি পণ্য রাখা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর