বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছে গরু, আতঙ্কে খামারিরা

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:০২

জেলা ভেটেরিনারি অফিসার আশিকা আকবর তৃষা বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গরু ও মহিষগুলোর মৃত্যুর কারণ ‘খুরা রোগ’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার প্রাণনগর ঘোষপাড়ার দুই ভাই গোপাল ঘোষ ও আনন্দ ঘোষ।

২০০০ সালে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় নিজ এলাকায় কয়েকটি গরু নিয়ে খামার গড়ে তোলেন তারা। সেই খামারে একে একে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলতি বছর সেই খামারের গরুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩০টি। খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হয়।

ইতোমধ্যে তারা স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন, কিন্তু এরই মধ্যে অজ্ঞাত রোগ তাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের খামারে মারা গেছে ৩৫টি গরু।

শুধু তাদের খামারের গরুই অজ্ঞাত রোগে মারা যায়নি। তার পাশের চঞ্চল ডেইরি ফার্মের তিনটি গরু ও একটি মহিষ এবং পাশের এক কৃষকের একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় খামারিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

গরুগুলো বুধবার রাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত মারা যায় বলে জানান গোপাল ঘোষ ও আনন্দ ঘোষ। এ ছাড়াও ওই এলাকার কয়েকটি ফার্মে অর্ধশত গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।

খামারি গোপাল ঘোষ বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে ১৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও মহিষ আছে। গত বুধবার রাতে হঠাৎ করে খামারের কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। গরুগুলো অসুস্থ হয়ে গরুর মুখ দিয়ে লোল পড়া শুরু করে।

‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই একে একে ৩৫টি গরু ও মহিষ মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছে, এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে গরুর খামার করছি, কিন্তু এ ধরনের সমস্যায় কোনো দিন পড়ি নাই। হঠাৎ করে চোখের সামনে এতগুলো গরুর মৃত্যুতে খুব খারাপ লাগছে। সোমবার রাত পর্যন্ত খামারের ৩৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।’

চঞ্চল ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী গোবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘হঠাৎ করে গরু ও মহিষ অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে।কয়েকজন চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা করিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও কোনো রোগ ধরতে পারছেন না। এভাবে গরু ও মহিষ মারা যেতে থাকলে তো আমাদের পথে বসতে হবে।’

খবর পেয়ে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে জেলা ভেটেরিনারি অফিসার আশিকা আকবর তৃষা বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গরু ও মহিষগুলোর মৃত্যুর কারণ ‘খুরা রোগ’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর