আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আসনটি আওয়ামী লীগ রাখবে, নাকি শরিক দলকে ছাড়বে গুঞ্জন তা নিয়েই।
চট্টগ্রামে কোন কোন আসনে শরিক ও মহাজোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে কদিন ধরেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হচ্ছে। তবে শরিকদের কতটি আসন ছেড়ে দেয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, সমঝোতার কারণে কারা ‘বলি’ হতে পারেন তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নানা সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা চলছে এখন। রোববার রাতেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শরিকদের বৈঠক হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত আসেনি।
চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল। একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের শীর্ষ নেতা দিলীপ বড়ুয়া। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন।
সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া এ আসনে নির্বাচনের দাবি করে আসছেন অনেকদিন ধরে। দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে সমঝোতা করতে গিয়ে এই আসনে দিলীপ বড়ুয়াকে মনোনয়ন না দিয়ে পরে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হয়েছিল। সেবার প্রার্থী হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
দলীয় সূত্র বলছে, দিলীপ বড়ুয়া এবারও এ আসনটি দাবি করেছেন। তিনি এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান।
দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রার্থী হলে কোনো আপত্তি ছিল না। তিনি যখন প্রার্থী হননি তখন আসনটি ছেড়ে দেয়া দরকার। আসনটি আমার প্রাপ্য।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমার রুহেলও দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। তিনি বাবার হাত ধরে নৌকা নিয়ে এলাকার কাজ করতে চান, জনসেবা করতে চান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমি কর্মকাণ্ড চালিয়েছি, এখনো চালাচ্ছি। এটি আওয়ামী লীগের আসন। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সূত্র বলছে, সমঝোতা হলে আসনটি শরিকদল সাম্যবাদী দলকে ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। দিলীপ বড়ুয়াও একই ধারণা পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন। দু-একদিনের মধ্যে সব খোলাসা হয়ে যাবে।
তবে আরেকটি সূত্র জানায়, রুহেলই থাকতে পারেন নৌকার প্রার্থী। সমঝোতার পর রুহেল প্রার্থী থাকলে দিলীপ বড়ুয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।