বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক দশক ক্ষমতার বাইরে, তবু সম্পদ বেড়েছে সাবেক এমপি মুরাদের

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:২৬

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মুরাদ জং। দীর্ঘ এক দশক ক্ষমতায় না থেকেও বাৎসরিক আয় ও সম্পদ কয়েক গুণ বেড়েছে এই সাবেক এমপির।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মুরাদ জং। দীর্ঘ এক দশক ক্ষমতায় না থেকেও বাৎসরিক আয় ও সম্পদ কয়েক গুণ বেড়েছে এই সাবেক এমপির।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে তার জমা দেয়া হলফনামা ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় মধ্যবর্তী সময়ে তার কোনো হলফনামা পাওয়া যায়নি।

এ কারণে এই প্রার্থীর আয় ও সম্পদ ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদে থাকাকালীন সময়ে বেড়েছে, নাকি পরবর্তী সময়ে বেড়েছে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

হলফনাফায় এই প্রার্থী উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে তার বাৎসরিক আয় সর্বমোট ১ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ২৪৬ টাকা। যার মধ্যে কৃষিখাতে তার আয় উল্লেখ করেছেন ৭ হাজার টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮৪ টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, এফডিআর থেকে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬২ টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এর আগে ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই প্রার্থীর সর্বমোট বাৎসরিক আয় ছিল মাত্র ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৯ টাকা। যার মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আসতো ব্যবসা থেকে ও বাকিটা সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর থেকে।

২০০৮ সালের পর থেকে তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে অন্তত ৬ গুণ। ২০০৮ সালের হলফনামায় টাকার অংকে তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ৬৬১ টাকা। যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯১ টাকায়।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় নগদ টাকা উল্লেখ করা হয়েছিল ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৯ টাকা, ব্যাংকে জামা ছিল ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮২ টাকা, তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ছিল ৬ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ২৫ লাখ টাকা, ২ টি গাড়ি ছিল ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যমানের স্বর্ণালংকার ছিল ২০ ভরি যা অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৮০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ছিল ৫০ হাজার টাকা মুল্যমানের।

সে সময় তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ ল লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী। নির্ভরশীলদের নামে স্বর্ণালংকার ছিল ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার যার মূল্য দেখানো ছিল ৬ লাখ টাকা।

এর বিপরীতে বর্তমান সময়ে এসে এই প্রার্থীর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯১ টাকায়। যার মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ৩১ লাখ ২১ হাজার ১৪১ টাকা, ব্যাংকে জমা ৫ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ১৫৮ টাক এফডিআর রয়েছে ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪২ টাকা, সঞ্চয়পত্র/ স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ২০ লাখ টাকা, ২ টি গাড়ি রয়েছে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৫০ টাকা মুল্যের, ৮০ হাজার টাকার ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার।

এ ছাড়াও বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭০ টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ১২ লাখ ২৬ হাজার ৭৬২ টাকা, ৭.৫ লাখ টাকা মুল্যের ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২.৭০ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র।

বর্তমান সময়ে এই প্রার্থীর স্থাবর সম্পদ বেড়ে কৃষি জমির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৪০ বিঘা বা ১৩.২ একরে যার মুল্য দেখানো রয়েছে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৬ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ১৫ কাঠা যার মূল্য ৪৪ লাখ ৭৬ হাজার ২৫০ টাকা, একটি মার্কেট যার মূল্য ৯৪ লাখ ৭৯২৬ টাকা, দুটি ফ্যাক্টরি শেড যার মূল্য ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৭ টাকা, ৭ টি ফ্লাট যার মুল্য উল্লেখ রয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা।

বর্তমানে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ হিসাবে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ৯০০ টাকার ৪টি ফ্লাটের কথা উল্লেখ করা রয়েছে হলফনামায়। এর আগে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের স্থাবর সম্পদের উল্লেখ ছিল শুধু ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের ১.৭২ একর কৃষিজমি ও ৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা মুল্যের মোট ৫.৬১ একর অকৃষি জমি।

২০০৮ সালে মুরাদ জংয়ের হলফনামায় কোনো দায়ের কথা উল্লেখ না থাকলেও সম্প্রতি দেয়া হলফনামায় তার দায় উল্লেখ করা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৩ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর