বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাহিদ নাকি শমসের, এবার কে ছাড় দেবেন!

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৪

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। শেষ মূহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে তিনি সরে দাঁড়ান। এবারও এ আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে শমসের মবিন ও আওয়ামী লীগ থেকে নুরুল ইসলাম নাহিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বিএনপির সাবেক নেতা বীর বিক্রম শমসের মবিন চৌধুরী। শেষ মূহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এরপর টানা তৃতীয়বারের মতো এ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।

এবার আবারও এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন শমসের মবিন। এবার তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। নুরুল ইসলাম নাহিদও আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এ আসনে।

এ দুজন ফের প্রার্থী হওয়ায় এবার কে কাকে ছাড় দেবেন, এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছুদিন আগে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন শমসের মবিন। বিএনপিহীন এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তৃণমূল বিএনপি। সরকারের সঙ্গেও দলটির সখ্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।

তৃণমূল বিএনপিকে কয়েকটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে বলে ধারণা এ মহলের। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারেন দলটির চেয়ারপারসন।

এদিকে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত, দলটির কানডার শাখার সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। ফলে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে।

অপরদিকে সাবেক আমলা শমসের মবিন চৌধুরী সাধারণ ভোটারদের কাছে ততটা পরিচিত নন। এই হিসাব থেকে এবারও শমসের মবিনকে ছাড় দিতে হতে পারে বলে মনে করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ সমর্থকরা।

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা নাহিদ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে জিতলেও আর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তার।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকেও বাদ পড়েন সাবেক এ শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্থানীয়ভাবে দলে তার দাপট অনেকটাই কমে যায়। স্থানীয়ভাবেও অনেক নেতা-কর্মী তার বিরুদ্ধে এককাট্টা।

এবার নাহিদের আসনে ১১ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন চান, তবে দল শেষ পর্যন্ত নাহিদের ওপরই আস্থা রাখে।

শমসের মবিন চৌধুরী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

শমসের ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হন। গত নির্বাচনে বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হন তিনি।

নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘনিষ্ঠ দুজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হলে শেষ মুহূর্তে নুরুল ইসলাম নাহিদ নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নাহিদকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হবে।

এমন কিছুর কথা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দল আমার ওপর এবার আস্থা রেখেছে। আমি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।

‘নৌকার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। সমঝোতা বা ঐক্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার একটাই দাবি—স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। জনগণ ভোট দিতে পারলেই আমার বিজয় নিশ্চিত।’

সিলেট-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ছয় প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর