নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (১৩ দিন) সেনাবাহিনী মোতায়নের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সাথে আলোচনা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি এ কথা জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আজ আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়েছে- উনারা চাচ্ছেন সেনাবাহিনী মোতায়ন হোক। এখন উনারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন দেবেন। তারপর রাষ্ট্রপতির নির্দেশের ভিত্তিতেই কাজ করবে সেনাবাহিনী।’
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেভাবেই চাইবেন, সশস্ত্র বাহিনী সেভাবেই কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আমার মনে হয়েছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আগ্রহী। তারা এ ক্ষেত্রে ভেরি (খুব) সিরিয়াস। আমরাও তাদের কথা দিয়েছি, অতীতের নির্বাচনে যেভাবে সেনাবাহিনী কাজ করেছে এবারও সেভাবে কাজ করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতবার ৩৫ হাজারের ওপর আর্মফোর্স মোতায়ন ছিল। এবার যদি এর বেশি প্রয়োজন হয়, আমরা বেশি করব। গতবার ৩৮৮টি উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন ছিল। এ ছাড়া ৮৭টি উপজেলায় (সীমান্ত এলাকার) বিজিবির মোতায়েন ছিল। এবার এর থেকে বেশি প্রয়োজন হলে আমরা বেশি দিতে পারব বলে কমিশনকে জানিয়েছি।’
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনী কীভাবে কাজ করবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে যেভাবে সেনাবাহিনী কাজ করেছে এবারও সেভাবে কাজ করবে। বর্তমান যে আইন আছে সে আইন অনুযায়ী সেনাবাহিনী কাজ করবে।’
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে ইসি আলোচনা করেছে। এ ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’