বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন কমিশন কি এটা ন্যায়বিচার করেছে: কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৩৯

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। কমিশন আমাদের বারণ করেছে। আমরা তাদের কথা সম্মানের সঙ্গে রেখেছি। অথচ ইসি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরোধীদের সমাবেশের অনুমতি দিল। এটা হয় না।’

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বায়তুল মুকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগকে অনুমতি না দেয়া এবং বিএনপিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের অনুমতি দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এটা কি ন্যায়বিচার হয়েছে?

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার যৌথসভায় তিনি ইসির উদ্দেশে এমন প্রশ্ন রাখেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। কমিশন আমাদের বারণ করেছে। আমরা তাদের কথা সম্মানের সঙ্গে রেখেছি। অথচ ইসি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরোধীদের সমাবেশের অনুমতি দিল।

‘আমরা পেলাম না। কিন্তু যারা বিরোধী তাদের কেন এ অনুমতি দেয়া হলো? এটা হয় না। নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের এই আশ্রয়-প্রশ্রয়টা কেন দিল? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- এটা কি ন্যায়বিচার হলো?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনি আমাকে দিলেন না, আমি নির্বাচন নির্বাচন করছি। আর যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের অনুমতি দিলেন। আমি কিছু বলছি না, আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হামলা করলে মামলা হবেই। আর মামলা হলে গ্রেপ্তার হবে, সাজা হবে। কোনো ছাড়াছাড়ি নেই। পুলিশ মারবেন আর এটা বিনাবিচারে যাবে? এমন ঘটনা যারা ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? হামলা আমরা করি না, হামলা করেন আপনারা।’

কাদের বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে তলে তলে বৈঠক করব...! এখন কি জনসভার ডাক দিয়ে আমরা এগুলো করব? আলোচনার জন্য একটি পরিবেশ দরকার হয়। এসব আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা তো জনসভা ডেকে কিংবা গণমাধ্যম ডেকে হবে না।

‘আলোচনা এভাবেই হয়, অতীতেও হয়েছে। আলোচনা হয়েছে, ১৪ দল হয়েছে, মহাজোট হয়েছে এবং আসন সমঝোতাও হয়েছে। প্রক্রিয়াটা এমনই। আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে সব সমাধান হয়ে যাবে। এটা তো আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে হবে না।’

আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে। আমরা সতর্ক থাকব। কারণ এই নির্বাচন আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নব নব বিজয় অর্জন করতে এই নির্বাচন আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই চোখে পড়ার মতো হবে। দৃশ্যমানভাবে ভোটার উপস্থিতি দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় ভালো হবে বলে বিশ্বাস করি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছেন এবং অন্য ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইলেকশনে সবাই নমিনেশন পাননি। নমিনেশনের তো একটা সংখ্যা আছে, তার বাইরে তো দেয়া যাবে না। এ নিয়ে অনেকের দুঃখ আছে। তারপরও নেত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার। এখানে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এ বিভাগের আরো খবর