বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রেন দেখানোর কথা বলে শিশু অপহরণ, রোহিঙ্গা যুবক গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:২৮

৪০ ঘণ্টার অভিযানের কথা জানিয়ে এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে চাকরি ও বসবাস শুরু করেছে। যার কারণে দ্রুত অপরাধ করে পালানোর সুযোগ থাকে।’

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শিশুকে অপহরণের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের একটি রিসোর্ট থেকে রোববার রাতে অপহৃত শিশু উদ্ধার ও ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ নুর উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯-এর বাসিন্দা। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মুরগির খামারে কাজ করেন তিনি। অপহৃত শিশু চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বাগান পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের ছেলে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসব তথ্য জানান এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম।

তিনি জানান, মানবিক কারণে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুরকে মুরগির খামারে চাকরি দেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরিদ, কিন্তু সেই নুরই ফরিদের ৭ বছর বয়সী ছেলেকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ ডিসেম্বর চুনতি এলাকার মুরগির ফার্ম থেকে সম্প্রতি চালু হওয়া ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেন দেখার কথা বলে শিশু মিনহাজকে নিয়ে যান নুর। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর মুঠোফোনে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

দুই ধাপে পরিবারটি ৪০ হাজার টাকা পাঠায়। এর পরও খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ করে পরিবার। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।

ডিবি আরও জানায়, বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্তের পর কক্সবাজার পৌর শহরের হোটেল-মোটেল জোনের প্রিন্স রিসোর্ট নামে হোটেলের একটি কক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণকারী মোহাম্মদ নুরকেও আটক করা হয়। পরে তাকে অপহরপণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

৪০ ঘণ্টার অভিযানের কথা জানিয়ে এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে চাকরি ও বসবাস শুরু করেছে। যার কারণে দ্রুত অপরাধ করে পালানোর সুযোগ থাকে। অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, অন্যথায় প্রাণ ঝুঁকিতে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার নুরের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কোনো চক্র রয়েছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর