বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

  • প্রতিনিধি, ঝালকাঠি   
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৪০

নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বন্দুকধারী আব্দুল জলিল মিয়াজী লিখেছেন, ‘হলুদ সাংবাদিক অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে। সকলের আমলনামা আমার হাতে জমা আছে। বিজয় মিছিলের পর উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে। যারা বেশি লাফালাফিতে ব্যস্ত, তারা সামলাইতে পারবা তো?’

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নৌকার সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যরিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের পাশে বন্দুক নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী। এমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শন করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী শাহজাহান ওমরকে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত সংবাদ নিউজবাংলাসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যনেল, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাবিকারী (বন্দুকধারী) আব্দুল জলিল মিয়াজী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বুধবার মধ্যরাতে Miazi Barta নামে ওই নেতার ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর সকল মিথ্যাচার ও নোংরামির দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। হলুদ সাংবাদিক অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে। সকলের আমলনামা আমার হাতে জমা আছে। বিজয় মিছিলের পর উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে। যারা বেশি লাফালাফিতে ব্যস্ত, তারা সামলাইতে পারবা তো?’

এর আগেও জলিল মিয়াজীর পৃথক দুটি আপত্তিকর ফেসবুক পোস্টে ক্ষুব্দ ছিল সরকার দলীয় নেতা-কর্মী এবং পুলিশ সদস্যরা যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আর এবার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য প্রকাশ করলেন তিনি।

বিএনপির নেতা গত ২ অক্টোবর দেয়া এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এই অক্টোবর মাসেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। কিছুদিনের মধ্যে এই সরকারের পতন হবে।’

ওই আইডি থেকে ২৮ অক্টোবর লিখেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা করলো, কাকরাইল মোড়ে দাড়িয়ে নেতাদের বক্তব্য শুনছিলাম। হঠাৎ করে আমার সামনে গ্রেনেট মারলো সিভিল ড্রেসে পুলিশ। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’

এ বিষয়ে একাধিক সাংবাদিক নেতার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। বিএনপি নেতার এ ধরনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক মহল।

ঝালকাঠি সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম রেজা বলেন, ‘বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেসবুকে হুমকি দেয়া অবুঝদারের সামিল। একজন ব্যক্তি, সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রকাশ হলে আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হুমকি- এটা দুঃখজনক।’

ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ হয়ে জলিল মিয়াজী সাংবাদিকদের সম্পর্কে ফেসবুকে যা লিখেছেন, তা যথেষ্ট কুরুচিপূর্ণ এবং আপত্তিকর। আমি এর নিন্দা জানাই।’

তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জলিল মিয়াজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ঢালাওভাবে সব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখি নাই। নির্ধারিত একজনের উদ্দেশ্যে লিখেছি।’

গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের গঠন করা ঝালকাঠি-১ আসনের অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সিনিয়র জজ পল্লবেশ কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত শাহজাহান ওমরকে দেয়া কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে প্রার্থীর নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর অধীন বিধি ৬ (ক), (গ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়। কারণ দর্শানোর জবাবপত্র ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন শাহজাহান ওমর।

এ বিভাগের আরো খবর