বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, এক দিনে নিহত ৪

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:১৪

ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, ‘আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপদে রয়েছে। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলাদা স্থানে তিনজন নিহত হয়েছেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৭ ও ১৫-তে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাণ হারানো তিনজন হলেন ১৭ নম্বর ক্যাম্পের আবুল কাসেম। তিনি আরসা সদস্য বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়াও ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ জোবায়ের ও জয়নাল উদ্দিন। তারা দুজন আরএসও সদস্য বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ ও ক্যাম্পের একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সি/৭৭ ব্লক এলাকায় ১০ থেকে ১২ আরসা সদস্য একত্রিত হয়ে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের এইস/৭৭ ব্লকের বাসিন্দা আবুল কাসেমের মাথায় দুই রাউন্ড গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়ে তার।

এ ঘটনার পর ওই রাতেই ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৩ ব্লক এলাকায় আরএসও সদস্যদের লক্ষ্য করে ১২ থেকে ১৩ রাউন্ড গুলি চালায় আরসার সদস্যরা। এতে জোবায়ের ও জয়নাল নিহত হন।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্প ১৫ এবং ক্যাম্প ১৭ এলাকায় আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে ক্যাম্প এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়াধীন।’

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ/১৬-তে ইমাম হোসেন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।

ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, ‘আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপদে রয়েছে। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর