বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৯ হাজার ভোট পিটাইয়া দিবো’, ভিডিও ভাইরাল

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৯

ভাইরাল হওয়া ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন; চেয়ারে বসে আছেন আরও কয়েকজন। এ সময় সিরাজুল আলম সামনে থাকা লোকজনের উদ্দেশে বলেন- নির্বাচনের দিন তার ইউনিয়নে ৯ হাজার ভোট পিটাইয়ে দিবে। এ বিষয়ে গ্যারান্টিও দেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ৯ হাজার ভোট পিটাইয়া (সিল মেরে) দেবে- আওয়ামী লীগ নেতার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুরের কালকিনির মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বক্তব্য দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল আলম মৃধা। বক্তব্য দেয়ার মাঝে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিরাজুল আলম মৃধা কালকিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং শিকারঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

ভাইরাল হওয়া ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন; চেয়ারে বসে আছেন আরও কয়েকজন। এ সময় সিরাজুল আলম সামনে থাকা লোকজনের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন- নির্বাচনের দিন তার ইউনিয়নে ৯ হাজার ভোট পিটাইয়ে দিবে। এ বিষয়ে গ্যারান্টিও দেন তিনি।

২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে সিরাজুল আলমের দেয়া বক্তব্য নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ভোট আমি, ৯ হাজার ভোট আমি পিটাইয়া দিবো। আমি সিওর দিলাম। ভাই-ব্রাদারকে নিয়া, সবার সামনে প্রতিশ্রুতি দিলাম। হাতে-পায় ধরিয়া লাগলেও আমি পিটাইয়া দিবো। আমি একা নই, ভাই-ব্রাদারকে সাথে নিয়া ভোট পিটাইয়া দিবো। এখানে এমপি হইলে আরও ৫-৭ টা ইউনিয়নও পিটাইতে হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত সিরাজুল আলম মৃধার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি একাধিকবার ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছি। তবে, কখন কোন ভিডিও কে করছে- জানি না। আমি এত বোকা নই, যে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দিবো। কিছু লোক আমার পেছনে লেগেছে। তারা এসব ভিডিও এডিট করে ভাইরাল করেছে। আমি ভোট পিটাইয়া দিবো, এমন কোনো বক্তব্য দেই নাই।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, ‘এভাবে প্রকাশ্যে ভোটের সিল মারবে- এমন বক্তব্যে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত হচ্ছেন। সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়েই এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিরাজুল আলম মৃধা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।’

মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর পক্ষে এমন বক্তব্য কেউই করতে পারেন না। যদি ভোটের ব্যালট পেপারে সিল মেরে দেবে, এমন কোনো ভিডিও থাকে, তাহলে লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহাম্মেদ আলী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ আমাদের দপ্তরে এখনও আসেনি। তবে নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ চেয়ারম্যান, রির্টানিং কর্মকর্তা বা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে প্রথমে লিখিত যাবে। নির্বাচন অফিসে অনুলিপি আসতে পারে। কাগজ হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে বিষয়টি অবগত করা হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হয়। তবে তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর