নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব সময়ই একটি পক্ষ সচেষ্ট থাকে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সে সব যেন না হয়, এ জন্যই নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়।’
জাতীয় শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে বুধবার আয়োজিত ‘বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৫২ বছর’ পূর্তি উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। এর অন্তরালে অনেক সময় বিপত্তি ঘটানোর, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি কিংবা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি পক্ষ অনেক পন্থা অবলম্বন করে।
‘সে ধরনের কোনো ঘটনা যাতে কেউ না করতে পারে, এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যারা আছেন তারা অত্যন্ত দক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়তই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা আটক করা হচ্ছে। আমরা সব সময়ই তাদের চিহ্নিত করে আসছি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাদের বেশির ভাগই এখন জেলখানায়, না হয় দেশত্যাগ করেছে।
‘বিদেশে যারা আত্মগোপন করেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আনাও হয়েছে।’
সীমান্তে অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে হত্যার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়েও মিটিং হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, সীমান্তে নন লিথ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করার।’
নির্বাচন উপলক্ষে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী সব সময়ই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কাজে রয়েছে। যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’