টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা, দুই ছেলে ও এক ছেলের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মধুপুর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুন্ডুরা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর পর ৯৯৯-এ কল করে চারজনকে মুক্ত করা হয়।
তারা হলেন ওই গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম, বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও আলমগীরের স্ত্রী জোসনা বেগম।
তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পুন্ডুরার প্রয়াত নুরুল ইসলামের দুই ছেলে আলমগীর, জুব্বারের সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া ও তার ভাইদের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছে বহুদিন ধরে। এ নিয়ে ২৩ বছর বাটোয়ারা মামলা চলার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আলমগীর ও জুব্বাররা রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেছেন। মাঠ ও প্রিন্ট পর্চা তাদের নামেই এসেছে।
প্রতিপক্ষ কালু মিয়া ও তার ভাইয়েরা এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে ওই জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে আবেদন করলে, আদালত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করে।
আলমগীর, জুব্বার কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া ৬০ শতক জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আলমগীর, জুব্বাররা বাধা দিতে গেলে তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে কালু মিয়া ও তার ভাইয়েরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশীদ ও জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আজকের ঘটনায় কেউ লিখিত দেয়নি বলে মামলা হয়নি।
তবে দুই পক্ষকে ডেকে এনে ১৪৪ ধারা জারি ও আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষায় জমিতে যেতে বারণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।