বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পদ আয় উভয়ই বেড়েছে সালাম মুর্শেদীর

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:৪০

আবদুস সালাম মুর্শেদীর হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, বর্তমানে তার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ২৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে আরও ৪৩ কোটি টাকা আয় করেছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। এ নিয়ে তার মোট সম্পদ হয়েছে ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।

অন্যদিকে মুর্শেদীর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ গত পাঁচ বছরে ১৮ গুণ বেড়ে হয়েছে ২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার।

এমপি থাকাকালীন আবদুস সালাম মুর্শেদীর বার্ষিক আয়ও বেড়েছে। পাঁচ বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৮ কোটি ২ লাখ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আবদুস সালাম মুর্শেদী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্পদের এ হিসাব জমা দিয়েছেন।

আবদুস সালাম মুর্শেদীর হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, বর্তমানে তার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ২৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

বিভিন্ন কোম্পানিতে মুর্শেদীর শেয়ার রয়েছে ৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের ভবন। গাড়ি, গৃহ, সম্পত্তি ছাড়াও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।

আবদুস সালাম মুর্শেদীর স্ত্রীর কাছে ১ কোটি ৮৬ লাখ নগদ টাকা, ব্যাংকে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। অন্যান্য সম্পদ রয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের।

২০১৮ সালে মুর্শেদীর হলফনামায় উল্লেখ ছিল, তার বার্ষিক আয় ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর বার্যিক আয় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তার নিজের ৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকার, স্ত্রীর ২২ কোটি ৩১ লাখ টাকার এবং নির্ভরশীলের (মেয়ে) ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে।

বর্তমানে নিজেকে পাবলিক-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পোশাক শিল্প, বস্ত্রশিল্প, ব্যাংক, হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস। তার নামে নেই কোনো মামলা।

২০১৮ সালের উপনির্বাচনে আবদুস সালাম মুর্শেদী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের দলের মনোনয়ন নিয়ে তিনি বিজয়ী হন।

রাজনীতিক হিসেবে মুর্শেদী যতটা পরিচিত, তার চেয়ে বড় পরিচয় খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ী হিসেবে। ১৯৮২ সালে মুর্শেদী তার খেলোয়াড়ি জীবনে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত আশিস-জব্বার গোল্ড কাপে ১০টি গোল করার মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

বর্তমানে মুর্শেদী এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন।

বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। এর আগে তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির দয়িত্বও পালন করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর