বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে খুলনার অপরাধ জগৎ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:২৭

কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মূলত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এদের সঙ্গে এখনও কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এদের নামে যতগুলো মামলা আছে, তাতে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তবু জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন অরাজকতা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে।’

পুরো খুলনা শহরের মাদক ব্যবসা, ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র বিক্রি ও ভাড়াটে খুনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তিনটি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার প্রতিবেদনে তিন গ্রুপের অস্ত্রাধারী সদস্যদের অধিকাংশকেই পলাতক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছে।

তবে তারা পুলিশের দৃষ্টির আড়ালে থাকলেও, থেমে নেই তাদের অপরাধের রাজত্ব। তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ও মাদক নিয়মিত শহর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ধার হলেও, ওই সিন্ডিকেটের হোতারা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দমনে তারা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

আশিক গ্রুপ

কেএমপির বিশেষ শাখার তালিকায়, খুলনা শহরের বর্তমানে সব থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে আশিক গ্রুপ। ওই বাহিনীর প্রধান আশিক নিজ নামে দলটি গঠন করেছে। তিনি খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন চানমারী এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন। এ পর্যন্ত তার নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার দলে সদস্য রয়েছেন ২৩ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ১১০টি।

আশিক গ্রুপের প্রধান সহকারী ফয়সাল। তিনি খুলনা সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১৬ সালে তিনিও হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আশিকের গ্রুপের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তার নামে এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা হয়েছে।

এ ছাড়া ওই গ্রুপের সদস্য আব্দুল্লাহর নামে ৯টি, জাহিদুল ইসলামের নামে ৩টি, বস মিজানের নামে ৭টি, পালসার সোহেলের নামে ৪টি, কাউট বাসারের নামে ২টি, হেলালের নামে ৮টি, পারভেজের নামে ৬টি, দুলালের নামে ৮টি, নাদিমের নামে ২টি, ডালিমের নামে ৩টি, অপুর নামে ৩টি, জিহাদ হোসেন জিয়ার নামে ৫টি, মো. সাগর লেলিনের নামে ৮টি, শেখ গোলাম মোস্তফা ওরফে ট্যারা মোস্তর নামে ২৭টি, আরমানের নামে ৭টি, সাইফুল ইসলাম পিটিলের নামে ৩টি, মো. ইয়াছিনের নামে ৫টি, মো. নিয়াজ মোর্শেদের নামে ৮টি, স্পিকার মিরাজের নামে ৩টি ও শেখ বাবুল শেখের নামে ২টি মামলা রয়েছে।

এসব মামলাগুলো হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় হয়েছে। এদের মধ্যে বস মিজান, পারভেজ, অপু, জিহাদ হোসেন জিয়া, মো. সাগর লেলিন বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে ওয়ারেন্ট জারি থাকলেও আশিক, ফয়সাল, ইমন, দুলাল পলাতক রয়েছেন।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আশিক গ্রুপের প্রধান, আশিকের বয়স মাত্র ২৭ বছর। ৭ বছর আগে এলাকার কিশোরদের নিয়ে তিনি গ্যাং সৃষ্টি করে মহড়া দিয়ে বেড়াতেন। পরে কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় মাদক ও পরবর্তীতে অস্ত্র বিক্রি শুরু করেন। ধীরে ধীরে এলাকার জমি ব্যবসায়ী তাকে ভাড়ায় নিয়ে বিভিন্নজনের জমি দখল শুরু করেন।

বর্তমানে শহরের শীর্ষ মাদক সরবরাহকারীও আশিক গ্রুপ। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট খুলনার রূপসা সেতু টোল প্লাজা থেকে ৯ হাজার ৩৫০ ইয়াবাসহ আশিকের আপন ভাই সজিবকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই সময় র‌্যাব জানিয়েছিল, চট্টগ্রাম থেকে মাদকের বড় বড় চোরাচালান এনে খুলনা শহরে তা বিক্রি করে চক্রটি। ওই মামলায় কয়েকদিন আগে কারাগার থেকে জমিনে বের হয়েছেন সজিব। আশিক এখন পর্দার অন্তরালে থাকলেও, সজিব প্রকাশে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন।

নূর আজিম গ্রুপ

আশিক গ্রুপের পরেই সব থেকে বেশি অস্ত্রধারী সদস্য রয়েছে নূর আজিমের গ্রুপে। তাদের দলে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। ওই দলের নেতৃত্ব দেন শেখ নূর আজিম। তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। তিনি নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কিশোর গ্যাং সৃষ্টির মাধ্যমে ২০১৬ সালে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। বর্তমানে তার নামে মোট মামলা রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে খুলনা থানার একটি অস্ত্র মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আপিলে বের হরে পরে পুনরায় হত্যা মামলায় আসামি হন। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাদের দলের সদস্যদের নামে মামলা রয়েছে ৫৮টি।

নূর আজিম পলাতক থাকায় ওই গ্রুপটির বর্তমান নেতৃত্বে রয়েছেন রাজু। তিনি নগরীর লবনচরা থানাধীন উকিলের কালভার্ট এলাকার বাসিন্দা। তার নামে মোট মামলা রয়েছে ৭টি।

এ ছাড়া ওই গ্রুপের চেগা সোহেলের নামে ১টি, দাঁত ভাঙ্গা মামুনের নামে ১টি, মাসুদের নামে ১টি, মেহেদী হাসানের নামে ৫টি, বিকুলের নামে ৩টি, মিরাজ শিকদারের নামে ১টি, কাটা রাশেদের নামে ২টি, কালু সরদারের নামে ৪টি, কালা লাভলুর নামে ৩টি, সাদ্দাম মল্লিকের নামে ৫টি, টগরের নামে ২টি ও মো. রাশেদুল ইসলাম খোকনের নামে ২টি মামলা রয়েছে।

গত বছর ৬ অক্টোবর দুপুরে নগরীর চাঁনমারি খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা পলাশ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা ও সৌরভ নামে আরেক যুবককে কুপিয়ে আহত করে। ওই সময় পুলিশ জানিয়েছিল, স্থানীয় নূর আজিম গ্রুপ ও আশিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পলাশ আশিকের গ্রুপের সদস্য ছিল।

এরই জেরে আজিম গ্রুপের ৮ থেকে ১০ জন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নূর আজিম সেই থেকে এখনও ধরা পড়েনি। তবে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর পশ্চিম টুটপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ দুটি পিস্তল ও একটি গুলির খোসাসহ নূর আজিমের সহযোগী নাহিদ হাসান সরদারকে গ্রেপ্তার করেছিল।

নূর আজিমের গ্রুপের সদস্য কাটা রাশেদ খুলনা সদর থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া ওই গ্রুপের বাকি সব সদস্য বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

গ্রেনেড বাবু গ্রুপ

খুলনা শহরে সব থেকে বেশি দিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে গ্রেনেড বাবুর গ্রুপ। ওই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন রনি চৌধুরী। তিনি নগরীর সামশুর রহমান রোডের বাসিন্দা। বর্তমানে তার নামে মামলা রয়েছে ১৩টি। আর তার গ্রুপে অস্ত্রধারী সদস্য রয়েছেন ৬ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ৩৩টি।

গ্রেনেড বাবু গ্রুপের অন্যতম সদস্য শাহিদুর রহমান শাওন ওরফে টেঙ্কি শাওন। তিনি নগরীর বড় বয়রা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার নামে সর্বশেষ হত্যা মামলা হয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবরে।

এ ছাড়া ওই গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্য মো. শাকিল, মো. সাব্বির শেখ, আসাদুজ্জামান রাজু ওরফে বিল রাজু ও বিকুলের নামে তিনটি করে মামলা রয়েছে।

২০১০ সালে হত্যা মামলায় জড়িয়ে পড়া থেকে গ্রেনেড বাবুর সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়। মাদক বিক্রির আধিপত্য ধরে রাখার জন্য ওই বছরের ১০ জুন সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর‌ হো‌সেন কচি নামের এক মাদক কারবারিকে তিনি হত্যা করেন। এ বিষয়ে পরেরদিন কচির বাবা ইলিয়াজ বাদী হয়ে গ্রেনেড বাবুর নাম উল্লেখ করে ৬ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর একই বছরের ২ নভেম্বর গ্রেনেড বাবু পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ ওই মামলায় গ্রেনেড বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালতের নথি থেকে পাওয়া গেছে, মাদকের টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কচির সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। যার কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছিল।

সর্বশেষ গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে চলতি বছরের ৫ অক্টোবর। ওইদিন সন্ধ্যায় ইমন শেখ নামের এক যুবককে তারা গুলি করে হত্যা করে। যদিও ওই মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে, তবে হত্যাকাণ্ডের প্রধান শুটারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রেনেড বাবু বর্তমানে ভারতে পলাতক রয়েছেন। তবে তার অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা খুলনাতে সক্রিয় রয়েছে।

তিন গ্রুপের সংঘর্ষ আধিপত্য নিয়ে

কেএমপির বিশেষ শাখার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো খুলনা শহরে অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করে এই তিনটি গ্রুপ। আর এলাকাভিত্তিক মাদক বিক্রির আধিপত্য ধরে রাখতে তারা বার বার হত্যাকাণ্ডের মতো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।

গত ৫ অক্টোবর নগরীরতে ইমন শেখ হত্যাকাণ্ডটিও ঘটেছিল মাদক বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওই সময়ে ইমনের বাবা সানোয়ার শেখ জানিয়েছিলেন, ইয়াবা বিক্রির সিন্ডিকেটের সদস্যরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে, ইমনের বাড়ি ছিল নগরীর গোবরচাকা এলাকায়। এক বছর আগে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে তিনি মাদক বিক্রি শুরু করেন। তবে ওই এলাকায় আগে থেকেই মাদক বিক্রির সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করত গ্রেনেড বাবু গ্রুপের অনুসারী সৌরভ। তার সঙ্গে কালা তুহিন, চিংড়ি পলাশ, ব্লাক রাজুসহ কয়েকজন মিলে গৌবরচাকা এলাকায় মাদক সরবরাহ করত। তবে ইমন শেখ ও তার সঙ্গীরা অন্য কোনো গ্রুপের কাছ থেকে ইয়াবা এনে গৌবরচাকা এলাকায় বিক্রি শুরু করেছিল। যার ফলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সদস্য শাহিদুর রহমান শাওন ওরফে টেঙ্কি শাওনের উপরে একাধিক বার গুলি ছুড়েছে নূর আজিমের গ্রুপের সদস্যরা। মূলত জমির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাওনের বাবা, দাদা ও চাচাসহ একই পরিবারের সাত সদস্য প্রতিপক্ষের হাতে বিভিন্ন সময়ে খুন হন। তাদের হাত থেকে রেহায় পেতে গ্রেনেড বাবু গ্রুপে যুক্ত হয় শাওন।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত চার বার শাওনকে হত্যা চেষ্টা করেছে নূর আজিম গ্রুপ। সর্বশেষ গত ১৯ মে তার ওপর নগরীর বয়রা এলাকায় গুলি ছোড়া হয়েছিল।

এ ছাড়া গত বছরের ৬ অক্টোবর পলাশ নামের এক যুবককে লবনচরা এলাকায় হত্যা করা হয়েছিল মাদক বিক্রির এলাকার দখল নিয়ে। পলাশ আশিকের গ্রুপের হয়ে লবনচরার ভুতের আড্ডা পার্ক এলাকায় মাদক বিক্রি করত। ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য নূর আজিম গ্রুপের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছিল।

নির্বাচনে রাজনৈতিক ব্যবহারের আশঙ্কা

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) খুলনার সম্পাদক আইনজীবী কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, তারা তো সুবিধাবাদী। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের পক্ষে কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রমনা না। তারা বিভিন্ন সময়ে নিজের পক্ষে ভোট নেয়ার জন্য এই অশুভ শক্তিগুলিকে কাজে লাগায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে পুলিশকে সচেতনতার সঙ্গে ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না হলে এই গ্রুপগুলো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ভূমিকা পালন করবে। কারণ এদের কোনো দল নেই, যারা তাদের হায়ার করবে, তাদের পক্ষে কাজ করবে।’

কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মূলত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এদের সঙ্গে এখনও কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

‘এদের নামে যতগুলো মামলা আছে, তাতে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তবু জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন অরাজকতা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর