নৌকার সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শন করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ডু সোমবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শাহজাহান ওমরকে শোকজ করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন।
এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন নেছার উদ্দিন।
নৌকার সমাবেশে উপস্থিত অনেকে জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাঁঠালিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিপুলসংখ্যক লোকজন নিয়ে এক পাশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, অন্যপাশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বসিয়ে সমাবেশ করেন ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। সমাবেশে বিএনপির একাংশের সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজী একটি বন্দুক নিয়ে শাহজাহান ওমরের পাশে বসা ছিলেন।
নির্বাচনি সমাবেশে বন্দুক নিয়ে অবস্থানের কারণে ভোটারদের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হওয়ায় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চান বিএনপি নেতা আবদুল জলিল মিয়াজীর কাছে। জবাবে বন্দুকটি শাহজাহান ওমরের লাইসেন্স করা বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।
সমাবেশে শাহজাহান ওমরের সঙ্গে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির হাওলাদারসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে এতে উপস্থিত ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
সমাবেশে আগ্নেয়াস্ত্র কেন নিয়েছেন, সে বিষয়ে জানতে রাত আটটার দিকে শাহজাহান ওমরের ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। তিনি কখনও কল কেটে দেন, আবার কখনও রিসিভ করেননি।