দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় বরিশাল-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুসারে প্রার্থী হতে হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব অগ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ছাড়া আরও ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর বৈধতা পেয়েছেন ৪৫ প্রার্থী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বরিশালে ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল-৪ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আসাদুজ্জামান। দল থেকে বাতিল করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বরিশাল-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রিয়াজ মোর্শেদ জামান খান হলফনামা জমা দেননি এবং তারও দলীয় মনোনয়নপত্র নেই।
বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টি তথা জেপি-মঞ্জু মনোনীত ব্যারিস্টার আলবার্ট বাড়ৈ হলফনামার ৩০০ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করেননি এবং দলীয় মনোনয়নপত্র ঠিকভাবে পূরণ করেননি। একই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মিরাজ ঋণখেলাপি থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শামসুল আলম ঋণখেলাপি, জাকির হোসেন খানের ঋণখেলাপি হওয়া ও ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন সঠিক না পাওয়া, শাহরিয়া মিঞার ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না পাওয়া, নূরে আলম সিকদারের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না পাওয়া এবং হুমায়ূন কবিরকে তার দল বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনয়নপত্র বাতিল করায় নির্বাচন কমিশন তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে।