দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও বাতিল হয়েছে তার জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুলেরটা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সোমবার সিরাজগঞ্জ-৪, ৫ ও ৬ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি পদে নির্বাচন করার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। একই আসনে এমপি হওয়ার জন্য বিশ্বাসের মেয়ের স্বামী সাজেদুলও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকেও পদত্যাগ করেন।
শতকরা এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর গরমিল থাকায় যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন নুরুল ইসলাম সাজেদুল।
সাজেদুল বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের যে স্বাক্ষর জমা দিয়েছি তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে নেয়া। তারপরও স্বাক্ষরে গরমিল ধরে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।’
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে হালিমুল হক মিরুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
‘এ ছাড়া ঋণখেলাপির কারণে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে ওয়ার্কাস পার্টি মনোনীত প্রার্থী রেজাউর রশিদ খানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।’