দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে, এটা বিদেশিরাও বুঝতে পারছেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত করা যাবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করছে। তারা স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে জোর করব কেন? আর আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনেই নির্বাচনে এসেছে।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয় বলে মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, যারা এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের যে প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আপিলেও না টিকলে পক্ষপাত করবে না আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এক নির্বাচিত সরকারের কাছে আরেক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটাতে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞ।
১৪ দলের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেগুলো যুক্তিযুক্ত, নির্বাচনে জেতার যোগ্য জোটের শরিক হলেও মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। জোটের খাতিরে শুধু শুধু মনোনয়ন দিলে গণতন্ত্রের প্রতি সুবিচার তো হলো না।
১০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কোনো সমাবেশ নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি। মানবাধিকার দিবস পালন করা গণতান্ত্রিক অধিকার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এর আগে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ্যপুত্র ও ঢাকা অবরোধের দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু জানাযায় অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
পরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়াত সাজেদুর রহমান চৌধুরী দীপুর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।