নির্বাচনের আগেই কুমিল্লা-৭ আসনে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে নৌকা ও আওয়ামী লীগ থেকে ভোটে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র পার্থীর মাঝে। নির্বাচনের আগে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু করেছে তাদের কর্মী-সমর্থকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার পর্যায়ক্রমে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে তাদের কর্মী-সমর্থকরা।
শনিবার দুপুরে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটু এক বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মজুদ, প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা ও নিজের সমর্থকদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ তোলেন।
এর জবাবে রোববার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে একা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা। সভায় উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা দৌলতুর রহমান কমিশনারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মুনতাকিম আশরাফ টিটু আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিপক্ষের লোকজনকে অস্ত্র ঠেকিয়েছেন। তার ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো চান্দিনাতে রয়ে গেছে। যে কারণে অস্ত্রের তথ্য তার কাছেই আছে। সে নিজে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মো. মনির খন্দকার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া আক্তার, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল বারী মজুমদার মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী রুবি আক্তার, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসব বিষয়ে মুনতাকিম আশরাফ টিটু বলেন, ‘আমি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কথা বলেছি। তারা উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’