বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলেজ ছাত্রীর মরদেহ: গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:০৭

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

নওগাঁয় এক কলেজ ছাত্রী নিহতের মামলায় প্রেমিক ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গ্রেপ্তার দুজনকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, নওগাঁর সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ২২ বছর বয়সী তাবাসসুম আক্তার রিংকু নামের এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তাবাসুম আক্তার রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় রায়কালী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।এ ঘটনার পর দিন দুপুরে নিহতের মা শাহিনা বেগম বাদি হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার চারদিন পর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মাটিয়াকুরি গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে নাঈম হোসেন ও তার বাবা আলাউদ্দীন আলীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান ওসি। এ সম্পর্কে তিনি জানান, নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রেমে পরিবারে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে গত ২৭ নভেম্বর সকালে তারা কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটোরিকশা করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহীতে কোর্টে বিয়ে করা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটোরিকশা থেকে রিংকু পড়ে যায়। এতে মাথা ও হাত পায়ে গুরুতর যখম হলে তাকে বাঁচানোর জন্য নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

নাঈম ভয় পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয় তাকে। এরপর নাঈম দ্রুত একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে রিংকুকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নাঈম ও তার বাবা ভয় পেয়ে রিংকুর মরদেহ রাতের আঁধারে তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর