বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিজের ভোট নিজেকে দিতেই প্রার্থী হয়েছি’

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৫১

আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘আসলে মনের মতো প্রার্থী না থাকায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার ভোট আমাকে দিতে পারলেই আমার আত্মতৃপ্তি। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, যাচাই ঠিকঠাক থাকলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবই। কোটি কোটি টাকা দিলেও আমি সরে দাঁড়াবো না। কারণ নির্বাচন আমার কাছে ক্যান্সারের মতো হয়ে গেছে।’

টানা তিনবার নির্বাচন করে একবারও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি মানিকগঞ্জের ঘিওরের ৬০ বছরের মো. আব্দুল আলী বেপারী। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে লড়বেন তিনি।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এ এমপি প্রার্থী ঘিওর উপজেলার বেড়াডাংগা এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।

আব্দুল আলী বেপারীর স্ত্রী গৃহিনী। সংসারজীবনে তাদের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলেরাও চাকরি করছেন। আব্দুল বেপারীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি স্বশিক্ষিত।

আব্দুল আলী বেপারী জানান, ইউপি নির্বাচনে মনের মতো প্রার্থী না পেয়ে তিনি ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনের মতো প্রার্থী পাননি তিনি। ফলে মানিকগঞ্জ-১ আসনে নিজেই দাঁড়িয়ে গেছেন এমপি প্রার্থী হিসেবে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে ভোট দিলে পাস করব, না দিলে কিছু করার নাই; আমার ভোট তো আমি দিতে পারব! আসলে মনের মতো প্রার্থী না থাকায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার ভোট আমাকে দিতে পারলেই আমার আত্মতৃপ্তি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, যাচাই ঠিকঠাক থাকলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবই। কোটি কোটি টাকা দিলেও আমি সরে দাঁড়াবো না। কারণ নির্বাচন আমার কাছে ক্যান্সারের মতো হয়ে গেছে।’

নির্বাচনে আসার পিছনের কারণ তুলে ধরে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় রাস্তা না থাকায় তৎকালীন বিএনপির চীফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কাছে যাই। রাস্তার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তখন খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন- পারলে আমার মতো হয়ে দেখিয়ে রাস্তা করে নিও। সেই রাগ আর ক্ষোভে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি, এখন এমপি প্রার্থী হয়েছি।’

স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সময়ই মা ও আমরা পাঁচ ভাই-বোন বাবাকে না করেছিলাম। কিন্তু তিনি কথা শুনেন নাই। এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময়ও বুঝিয়েছি, তাতেও লাভ হয়নি। পরে মনোনয়নপত্রে আমি প্রস্তাবকারী ও আমাদের এলাকার লিটন ইসলাম সমর্থনকারী ছিলাম। মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় পরিবারের কেউ সঙ্গে ছিল না। বাবার সঙ্গে শুধুমাত্র আমার ছোট ভাগিনা ছিল। বাবা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছে। তাই বাবার কথার অবাধ্য হয় নাই।’

এ বিভাগের আরো খবর